নান্দনিক সৌন্দর্যের অন্যতম এক কারিগর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইতোমধ্যেই তার নেতৃত্বে উন্নয়ন-সৌন্দর্যে রাজশাহী নগরী একটি মডেল সিটিতে পরিণত হয়েছে। নগরীকে আরও দৃষ্টিনন্দন ও যানজটমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে রাজশাহীর পাঁচটি রেলক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।
রাসিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মহানগরীর মেহেরচণ্ডি এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। খুব দ্রুতই এটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এখন রাজশাহীতে আরও পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন পাঁচটি ফ্লাইওভারের মাধ্যমে রাজশাহী শহরের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করা হবে। ট্রেন ক্রসিংয়ের জন্য তখন আর সড়কে যানবাহনকে যানজটে আটকে থাকতে হবে না। ফ্লাইওভার পাঁচটি নির্মাণকাজের কনসাল্টিং ফার্ম নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে রাসিক দরপত্র আহ্বান করেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সূত্র আরও জানায়, নগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া রেলক্রসিং, কোর্ট স্টেশন রেলক্রসিং, ভদ্রা রেলক্রসিং, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর এবং বর্ণালী মোড় রেলক্রসিং থেকে বন্ধগেট নতুন বিলশিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। চারটি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার। শুধু বন্ধগেট নতুন বিলশিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় সোয়া কিলোমিটার।
রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী খায়রুল বাশার বলেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য আমরা কনসাল্টিং ফার্ম নিয়োগ করতে যাচ্ছি। এ জন্য ইতোমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র দাখিল হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কনসাল্টিং ফার্ম নিয়োগ হবে। এর পর তারা মাটি পরীক্ষা করবে, ডিজাইন করবে, ব্যয় নির্ধারণ হবে। তার পর ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের মধ্যেই নির্মাণকাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর উন্নয়ন’ শিরোনামে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ১০৭ ধরনের কাজ করা হবে। এর মধ্যেই রয়েছে পাঁচটি ফ্লাইওভার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী-নওগাঁ ও রাজশাহী-নাটোর চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নগরীর মেহেরচ-ি-বুধপাড়া এলাকায় নির্মাণধীন ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ফ্লাইওভারটি। এ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে চলে গেছে রেললাইন। আরও পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে ট্রেন পারাপারের জন্য শহরের কোথাও মূল সড়কে যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। বাড়বে শহরের সৌন্দর্য। রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে এসব ফ্লাইওভার হলে কোনো ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনারও আর আশঙ্কা থাকবে না।
Leave a Reply